অনেক কথা বলার ছিল – প্রদীপ বালা

আমার কিছু কথা ছিলবুকের ভেতর খামচে ধরা অভিমানীকাঁটার মতকষ্ট ছিলন্যাপথালিনে ডুবে থাকা গভীর জলের মাছের মতরূপোলী আঁশেরস্বপ্ন ছিলসময় করে বলব ভেবে নীল রঙেতে ডুবিয়ে রাখাঅবাধ্য সবইচ্ছে ছিলবলা হল নাএক পশলা…

শূণ্য – প্রদীপ বালা | কবিতা ককটেল

শূণ্য থেকে শুরু করি এসোপেছন ফিরে হাত রাখি ফের হাতেশূণ্য করেই না হয় ভালবেসোপ্রেম পুড়ে খাক শূণ্য হতে হতেসে পোড়া প্রেম বুকের ভেতর জ্বেলেশহর চষে চষে ঘুরে বেড়াইসাধ হয় আমারও…

রাগ – প্রদীপ বালা | কবিতা ককটেল

আমার ওপর রাগ করেছিস বুঝি?হালকা হাওয়ায় উড়ছে অভিমানচোখের কোণে শুকনো খোঁজাখুঁজিবৃষ্টি নেমেছে শহর করছে স্নানসে বৃষ্টির সকল ছিটেফোঁটাইচ্ছে করেই তোর শরীরে পড়ুকআমার কি আর সৌভাগ্য তেমনবৃষ্টি ফোঁটা-ই লড়াই করে মরুকসে…

অপেক্ষা – প্রদীপ বালা | কবিতা ককটেল

এখন তোমার সময় হয়নি মানিসারা শহর বৃষ্টি ভিজে শেষতুমিও তখন জানবেও না জানিআমার আবার অপেক্ষার অভ্যেসসে অপেক্ষা বিছিয়েছি ঘাসেঘাস ফড়িং আর বাদাম খোসাও ছিলমনের মাঝে অন্তর্যামী হাসেমনের কথা সবাই খুঁটে…

আমার শহরঃ বর্ষবরণ – প্রদীপ বালা

উড়ছে দেখো শহর এবার স্কচের বোতল খোলোআঠেরো নয় ঊনিশও নয় আজকে সবাই ষোলো###মেয়ে বলেই সব কথা তার মানবো নাকি আমিপাঁচ হাজারের বেশি তো আজ কোনোমতেই নয়যা চাইছে তাই-ই তো দিচ্ছি…

মেঘবিলাস – প্রদীপ বালা | কবিতা ককটেল

শীতের শহর হঠাৎ করেই মেঘের সাথে দেখাউল্টোডাঙার মোড়ে তখন দাঁড়িয়ে ছিল একাএকা তো নয় অপেক্ষাতে যেমন সকাল সাঁঝেমেঘ কখোনো একা থাকে হাজার তারার মাঝে?তারার আবার কেত্ও ভারী হরেক রকম ক্যাপাআমি…

এক ধূসর সম্ভাবনা – প্রদীপ বালা

মাঘের পড়ন্ত বিকেলেএক ধূসর সম্ভাবনার জন্ম হচ্ছিলঘাম ঝরানো কৃষকের, কারখানার শ্রমিকেরকিম্বা টোটো চালকের সন্তানেরাসবুজ গালিচা পাতা মাঠের প্রান্তরে বসেআলোচনায় মত্ত ছিলসমাজের বিশল্যকরণীর মতো সে আলোচনাশুনে তুমি চমকে উঠলে!কেন এ যুবকেরা…

আগামীর রূপরেখা – প্রদীপ বালা

আমরা চেয়েছি ধুলোর ঘরবাড়িআমরা চেয়েছি হাতেহাতে সংসারআমরা পেয়েছি সবকিছু আড়াআড়িআমরা পেয়েছি তাসের খেলাঘরআমরা চেয়েছি আকাশের মতো বুকহলুদাভ যত প্রয়োজন তুলে রাখাআমরা পেয়েছি ক্লান্তিতে মাখা মুখজীবনের নামে মরে মরে বেঁচে থাকাআমরা…

চোখ – প্রদীপ বালা | কবিতা ককটেল

ইদানীং কারো চোখে চোখ রাখতে পারি নারাস্তা দিয়ে হাঁটি আর চোখ বন্ধ করে পাশ কাটিয়ে চলে যাই।অসাবধানতায় যদিওবা কখনো তাকিয়ে ফেলি দৈবাৎমুহূর্তে সরিয়ে নিই চোখযেমন চাকরির দাবীতে আন্দোলনরত যুবক-যুবতীদের চোখকিম্বা…

অন্ত্য রঙ্গ – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

হারে-রে রঙ্গিলা, তোর কথার টানে টানেপাগল হয়ে ঘুরে বেড়াই, সমস্ত রাতভোরকোন্‌ কামনার আগুন ছুঁয়ে স্বপ্ন দেখি তোর,কোন্‌ দুরাশার, রঙ্গিলা? তুই হঠাৎ কোনোখানেনা ভাঙলে না-দেখার দেয়াল, মিথ্যে এ তোর খোঁজেদিন কাটানোল…

হাইওয়ে – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | কবিতা ককটেল

বিঘের পর বিঘে এখনসাদা, সটানরজনীগন্ধার চাষ চলেছে।খাল, বিল আরহাজা-মজা পুকুরের ইজারা নিয়েফোটানো হচ্ছে পদ্ম।অভদ্রা বর্ষাকাল,শেয়ালে চাটে বাঘের গাল,উঠোনে এক-হাঁটু কাদা।অল্প-একটু রোদ উঠতেইগালফোলা গোবিন্দ সামন্তের বুড়ি-ঠাক্‌মা তাইপিচঢালাহাইওয়ের উপরে তারসাড়ে তিন কাঠা…